বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা চার্জশিটটি আমলে নিয়ে এ মামলা ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন। ওই আদালতে আগামি ১৭ এপ্রিল অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তবে চার্জশিট গ্রহণকালে মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
গত বছরের ২৪ আগস্ট পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিশা।
এই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সে একটি দরজির দোকানের কাজ করতেন তিনি।
গ্রেফতারের পরদিন ওবায়দুলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালে ওবায়দুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। প্রেমের প্রস্তাবে রিশা রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করেন বলে ওবায়দুল স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের ৬ মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সের স্কুলের ড্রেস বানাতে রিশা মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে দেওয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে তাকে উত্ত্যক্ত শুরু করেন ওবায়দুল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এইচএ/