পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ওই মামলার আসামিকে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসিরউল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট দেওয়ায় গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানায় আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হলে ১৭ নভেম্বর জজ আদালত তা শুনতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে সবুজের আইনজীবী তার পক্ষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন জানান। গত ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।
২২ মার্চ দুই বিচারক লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
আইনের ৬৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট ১ [অথবা] নিয়ন্ত্রক বা সে উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করবে না।
আমিনুল এহসান বলেন, পুলিশ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল এসব মামলার বিচার করতে পারবেন না। কিন্তু এ মামলার পুলিশ রিপোর্ট হয়নি। আর ট্রাইব্যুনাল এ মামলার জামিন শুনানি নিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ রিপোর্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়রা আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু মাগুরার দায়রা জজ শুনানি গ্রহণ করেননি। তাই দুই বিচারককে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। এবং আইনের এ বিধানটি অনুসরণের জন্য হাইকোর্টের আদেশ সব আদালতে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আসামিকে জামিন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
ইএস/জেডএস