ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এসি আকরামের খালাসের রায় বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এসি আকরামের খালাসের রায় বহাল

ঢাকা: গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে শাহীন রেজা রুবেল হত্যা মামলায় তৎকালীন ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আকরাম হোসেনসহ ১৩ আসামির খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং হায়াতুলের আপিল খারিজ করে চূড়ান্ত এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-  আমিনুল ইসলাম, আমীর আহমেদ তারেক, নুরুল আলম, আবদুল করিম, নুরুজ্জামান, রাতুল পারভেজ, মীর ফারুক, মংশেওয়েন, আবুল কালাম আজাদ, কামরুল হাসান, জাকির হোসেন ও মুকুলি বেগম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজউদ্দিন ফকির। এসি আকরামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। হায়াতুল ঠাকুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

পরে এস এম শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে এসি আকরামকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। হায়াতুল ঠাকুরের আপিলও খারিজ হয়ে গেছে।

আদালত সূত্র জানায়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেলকে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ডিবি'র এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল আটক করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়।

রুবেলের মৃত্যুর পর ওই ঘটনায় করা মামলার রায়ে বিচারিক আদালত ২০০২ সালের ১৭ জুন এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মুকুলি বেগম নামের এক আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিপক্ষ।

আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়ে এসি আকরাম, মুকুলি বেগমসহ ১৩ আসামিকে খালাস দিয়ে হায়াতুল ইসলামের সাজা বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ৯ মে রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পান এসি আকরাম।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এসি আকরামের খালাসের বিরুদ্ধে এবং হায়াতুল ঠাকুর তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট এসি আকরামকে সাতদিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

১৯৯৮ সালের ২৮ জুলাই  গ্রেফতার হন এসি আকরাম।   বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টে আপিল করে ২০০৩ সালের ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি। দুই দিন পর ২২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই জামিন আদেশ স্থগিত করেন। এরপরও তিনি কারাগারের বাইরে থাকেন।

২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এসি আকরামকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল আলম খানের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।