ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খনি দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি ১৭ মে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
খনি দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি ১৭ মে

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ১৭ মে শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

খালেদার অনুপস্থিতিতে তার আইনজীবীর আবেদনে রোববার (০২ এপ্রিল) শুনানি পিছিয়ে দেন ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালত।

আদালতে খালেদার জিয়া অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক মঈনুল আহসান, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

মামলায় চার্জশিটভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা চারদলীয় জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।

মামলার অভিযোগে আসামি করা ওই সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ অন্য তিনজন মারা যাওয়ায় তাদেরকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে চার্জশিটে।

১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পলাতক। অন্য সবাই জামিনে আছেন।

জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হয় একই বছরের ৫ অক্টোবর।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসি’র সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে প্রধান আসামি খালেদার বিরুদ্ধে।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করলেও ২০১৫ সালে দুদকের আবেদনে ফের চালুর নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।