রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (০৩ এপ্রিল) এ স্থগিতাদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
বরিশালের বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) প্রত্যাহার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগামী এক বছরের জন্য ওই নিষেধাজ্ঞা দেন।
সরকার ২০১৫ সালের ৩০ জুন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বাড়ায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাতগুণ পর্যন্ত কর বাড়ানো হয়। এ ভূমি উন্নয়ন করকে সাধারণত জমির খাজনা হিসেবে জানেন সাধারণ মানুষ।
এর আগে দেওয়ান আব্দুর রশিদেরই করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২২ আগস্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে কর বাড়ানো ও কমানো সংক্রান্ত সরকারের ক্ষমতা বিষয়ক ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর একটি ধারা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে আইন, ভূমি, অর্থ সচিব ও বরিশালের জেলা প্রশাসককে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ওইদিন সাংবাদিকদের বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) তে বলা হয়েছে-সরকার অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পুর্নবিবেচনা, বর্ধিত কিংবা হ্রাস করতে পারবে। কিন্তু সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের আইন বা কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো কর আরোপ করা যাবে না।
অথচ ২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) অনুসারে ভূমি উন্নয়ন কর বাড়িয়ে গেজেট জারি করেন তৎকালীন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
কর হ্রাস-বৃদ্ধিতে সরকারের এ ক্ষমতা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ গেজেট অনুসারে কর বাড়ায় বরিশালের কৃষক দেওয়ান আবদুর রশিদ বর্ধিত কর দিতে অপারগ বলে উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিটটি করেন। পরে বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটের সম্পূরক আবেদন জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর