তার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে গয়েশ্বরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও ফজলুর রহমান।
পরে মনিরুজ্জামান কবির বলেন, মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলেও জানান মনিরুজ্জামান।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীন্দ্র কুমার নাথ ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় দলের আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘তারা নির্বোধের মতো মারা গেলো, আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়। ওনারা যদি এতো বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা নিজের ঘরে থাকে কি করে, একটু বলেন তো’।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা করেছেন ভালো। এরা (বুদ্ধিজীবী) যে শেষদিন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বেতন-ভাতা খাইলো, এটাওতো কথা বলা যায়, যায় না? পাকিস্তান সরকারের তারা বেতন খাইলো, তারা হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা, আর যারা না খেয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ালো তারা হয়ে গেল রাজাকার’।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, গয়েশ্বরের এমন বক্তব্য শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে তার মানহানি ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইএস/ওএইচ/এএসআর