বুধবার (০৫ এপ্রিল) ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি বাচ্চু জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন।
২০১২ সালের ০২ জুন হাতিরপুলের নাহার প্লাজার পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে রুকসানা আক্তার রুমি (১৫) নামের ওই কিশোরীর ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গ্রেফতার হন বাচ্চু। কিন্তু পরে জামিনে গিয়ে পলাতক হন।
ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আসামি বাচ্চু ঘটনার ৫ দিন পর ০৭ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন।
ওইদিন জবানবন্দিতে বাচ্চু ভিকটিম রুমিকে কেন এবং কিভাবে হত্যা করেছেন তার বিস্তারিত বর্ণনাও দেন।
সেদিন বাচ্চু তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, ধর্ষণের পর ধরা পড়ার ভয়েই তিনি মেয়েটিকে খুন করেন। এরপর খুনের আলামত গোপন করতে সারারাত ধরে মরদেহ টুকরো টুকরো করেন। টুকরোগুলো কেউ যেন না বুঝতে পারেন, সেজন্য হাড় থেকে মাংস আলাদা করে হাড়গুলো পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদ ও রাস্তায় ফেলে দেন। মাংসগুলো বাথরুমে কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেন।
আসামি আরও স্বীকার করেন, দুই বছর আগে রুমির সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার। ঘটনার ১০/১২ দিন আগে রুমি মিরপুরে তার খালার বাসায় বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুমিকে তার অফিস সোনালী রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেন।
২০১৩ সালের ২০ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমআই/এএসআর