বুধবার (০৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে রায়ের ‘অনুলিপি অবমুক্তিকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক আবেদন করেন বাদী মো. শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে গত বছরের ০৬ ডিসেম্বর বিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে এক বিচারপতি তার সংসদ সদস্য পদকে অবৈধ বলে রায় দিলেও অন্যজন বৈধ বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
আইন অনুসারে বিভক্ত রায় ও নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেটির নিষ্পত্তির জন্য পাঠাবেন।
আবেদনে শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘০৬ ডিসেম্বর বিভক্ত রায় দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত রিট মামলাটির রায় দেওয়া বা প্রকাশ করেননি আদালত। যেহেতু বিভক্ত রায়, সেহেতু আপনার (প্রধান বিচারপতি) কাছে পাঠানোর মাধ্যমে তা শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ নির্ধারণপূর্বক মামলাটির নিষ্পত্তি করিতে হবে’।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’।
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ০৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যহবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা,এপ্রিল ০৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর