রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
পরে রেজিয়া সুলতনা চমন বলেন, ‘এ মামলার মোট আসামি ১১ জন। তাদের মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, বাকি ৬ জন পলাতক। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
পলাতক ৬ জনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
গ্রেফতারকৃত ৫ জন হলেন- গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের মো. খলিলুর রহমান (৬২), একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম (৬৫), একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৬২), মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী (৭৪) এবং ভালুকা উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের খুর্দ্দ পনাশাইল গ্রামের মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার (৬৮)।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
৬ খণ্ডে ৭৫ পৃষ্ঠা করে মোট ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। ৬০ জনের জবানবন্দি নেওয়া হলেও একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার দু’জনসহ মোট ৩১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে সামসুজ্জামান ও মো. রইছউদ্দিন আজাদী জামায়াত, মো. আব্দুল মালেক বিএনপি ও মো. খলিলুর রহমান জাতীয় পার্টির সক্রিয় সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর