ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাংবাদিক শহিদুলকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
সাংবাদিক শহিদুলকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: মাদারীপুরের কালকিনিতে দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রোববার (০৯ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
 
রুলে ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার ডিআইজি, মাদারীপুরের এসপিসহ সংশ্লিষ্ট  বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের নিচে নন, এমন পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি ৩০ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
এ বিষয়ে আগামী ১৪ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
 
‘সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, পরে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে রোববার (০৯ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
 
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মাদারীপুরের কালকিনিতে দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাকে এ নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে চাইলেও তা নেয়নি পুলিশ। উল্টো শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে’।
 
‘স্থানীয়, শহিদুলের পরিবার, পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারের সংবাদ সংগ্রহ করতে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে যান শহিদুল ইসলাম। তিনি নির্বাচনী প্রচারের ছবি তুলতে গেলে তার ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাদল তালুকদার ও তার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। শহিদুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। তাৎক্ষণিক খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কালকিনি থানায় নিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ছোট ভাই সরোয়ার তালুকদার (৩০) ও নাজমুল খান (১৭) নামে দু’জনকে আটক করা হয়’।

‘বিকেলে শহিদুল ওই ঘটনায় থানায় মামলা করতে চাইলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপের মুখে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে আটকে রাখে। সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাতে চাঁদাবাজির মামলায় শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে কালকিনি থানা পুলিশ। গতকাল সকালে শহিদুলকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।