সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা এ রায় দেন।
প্রাইম ব্যাংক কর্মকর্তা পাবনা শাখার জুনিয়র অফিসার হাসানুজ্জামান পলাশকে একটি ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অপর একটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম করাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ এবং আরো একটি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসানুজ্জামান পলাশ যশোরের পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন গেট এলাকার হায়দার আলীর ছেলে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক ইমেল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রাইম ব্যাংক পাবনা শাখা ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার হাসানুজ্জামান পলাশকে ক্লিয়ারিং সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু হাসানুজ্জামান দায়িত্ব পালন করাকালীন শাখার কালেকশনকৃত চেক ভূয়াভাবে ক্লিয়ারিং দেখিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় প্রাইম ব্যাংক পাবনা শাখার তৎকালীন ম্যানেজার খন্দকার আবুল মতিন বাদী হয়ে ২০১২ সালের ১৮ জুন পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ