মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশ অনুসারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেলফোন টাওয়ারের মাত্রা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ণয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন প্রতিবেদনের জন্য যোগাযোগ করেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন এ প্রতিবেদন নিয়ে আসতে তাদের তিন মাস সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর বাংলাদেশে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ারের রেডিয়েশন সহনীয় মাত্রায় রাখতে আট সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালা করে দাখিল করতে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
ওই সময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে প্রতিবেদনও দিতে বলেন।
এছাড়া সাতদিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি নিরীক্ষার পর স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিটিআরসিকে রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে বলেছিল।
বিষয়টি নিয়ে গত ২২ মার্চের শুনানিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষ। যেখানে রেডিয়েশনের উচ্চমাত্রার কথা বলা হয়। এদিকে ওইদিন আবেদনকারীপক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে রেডিয়েশনের মাত্রা নির্ণয় চেয়ে আবেদন জানান। আবেদনটি মঙ্গলবার গ্রহণ করেন আদালত।
এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি গত ২৮ মার্চ হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এরপর তিন সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
ইএস/এএসআর