দণ্ডিত মিরাজ বেপারি (৩২) বরিশালের মুলাদী উপজেলার মধ্য নাজিরপুর এলাকার ইসমাইল বেপারির ছেলে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।
মিরাজ আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জের আটপাড়ার হাতেম মাতুব্বরের মেয়ে নাসিমা বেগম ঢাকার খিলগাঁওয়ের প্রবাসী নুরু মিয়ার স্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালে ওই এলাকার ভাড়াটিয়া ছিলেন মিরাজ বেপারি। এ সূত্রে নাসিমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকা পরিশোধ না করে মুলাদীতে ফিরে আসেন মিরাজ। ছয় মাস পরে নাসিমা মোবাইল ফোনে পাওনা টাকা চাইলে মিরাজ তাকে মুলাদীতে আসতে বলেন।
টাকা নিতে নাসিমা মুলাদীতে এলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে জয়ন্তী নদীতে ফেলে দেন মিরাজ। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর মুলাদীর রামচরের চকিদার আব্দুল হাই জয়ন্তী নদীর তীরে নাসিমার মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর আব্দুল হাই চকিদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মুলাদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মুলাদী থানার এসআই মো. শাহাবুদ্দিন ২০১০ সালের ১০ জুন মিরাজকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ মামলার রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমএস/এএসআর