কিশোরগঞ্জের নিকলির সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের ফাঁসির দণ্ডের রায়ে বুধবার (১৯ এপ্রিল) এমন স্বীকৃতি আসে বলে জানিয়েছেন এ মামলার প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুক্তিযুদ্ধে নিকলি থানা রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন ও ইউনিয়ন রাজাকার কমান্ডার মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় প্রধান আসামি হুসাইনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিলো গণধর্ষণের। এ অভিযোগে ফাঁসির আদেশ আসে।
তুরিন আফরোজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এ স্বীকৃতি মিলেছে। যুদ্ধকালীন সময়ে গণধর্ষণ গণহত্যার শামিল। যেটাকে জেনোসাইডাল রেপ বলা হয়েছে। যার শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড’।
‘এছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনের মধ্যে যুদ্ধ আইনের বিষয়গুলো এ মামলায় স্থান পেয়েছে। এটিও আমাদের একটি সাফল্য। এমনকি এ মামলায় আমরা ছয়টি অভিযোগই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি’।
‘এর মধ্যে প্রধান আসামি হুসাইনকে দু’টি অপরাধের দায়ে দু’বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য তিনটি অভিযোগে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। অপর আসামি মোসলেম একটি মৃত্যুদণ্ড ও অন্যটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন’।
দুই রাজাকারের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রসিকিউটর তুরিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। সফলভাবে কাজ করতে পেরেছি’।
তুরিন জানান, পলাতক মো. হুসাইনকে গ্রেফতার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।
হুসাইনের নিজ ও মোসলেমের রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।
** রাজাকার হুসাইন-মোসলেমের ফাঁসি
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
ইএস/এসএইচ/এএসআর