রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আগামী ১১ জুলাই তাদের বিষয়ে পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী।
চলতি মাসের ২১ তারিখ খুলনার ডুমুরিয়া থানা ও ঢাকা থেকে ওই ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
গ্রেফতারকৃত নয়জন হলেন- আব্দুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান (৭৫), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. শাজাহান (৬৮), করিম শেখ (৬৮), আবু বকর সরদার (৬৭ ) ও রওশন আলী গাজী (৭২), নাজের আলী ফকির (৬৮) ও সোহরাব হোসেন সরদার (৬২)।
তাদের সবার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এ ১১ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা আনু মোল্লা ওরফে আজিজ শেখ, মজিদ বিশ্বাস, সাহেব আলী, শামসুল মোল্লা, ইমাম শেখ, আমজাদ সরদার, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ ৯ জনকে ধরে নির্যাতন করতে করতে রানাই এলাকার বকুলতলা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
ওই সময় তাদের হাত থেকে পালিয়ে এসে খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী বাদী হয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়:১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩,২০১৭
ইএস/জেডএস