সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই সেল গঠন করতে বলা হয়েছে। সেলের প্রধান হিসাবে রেজিস্ট্রার জেনারেল নিজেও থাকতে পারেন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া রায়ের অনুলিপি বৃহস্পতিবার (১১ মে) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩১ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল তার কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিকট দাখিল করিতে হইবে। যার একটি অনুলিপি সরকারের নিকটও দাখিল করতে হইবে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ”
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করা হয়। ঘটনার দিনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। গত বছরের ২১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। অভিযোগ গঠনের পর সাত মাসেও কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইনানুযায়ী মামলাটি ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী কুমার দেবলু দে। গত ১ নভেম্বর ওই জামিন আবেদনের শুনানিকালে আইনের ৩১(ক) ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান প্রতিপালন করতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়ে এ রায় দেন।
এছাড়া আসামি মিলাদ হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে তার মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
ইএস/এইচএ/