তারা বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমদিকে জনপ্রিয় হলেও পরে এটির অপব্যবহার হওয়ায় মানুষ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। অবশেষে এটি বাতিল হয়ে গেলো।
পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করলে প্রচলিত নিয়মে বিচার হবে বলেও জানান আইনজীবীরা।
‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ সালের অধীনে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ ব্যক্তির করা তিনটি রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আইনের ১১ ধারা উপ ধারাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা অবৈধ ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার (১১ মে)।
এ আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন অপরাধের তাৎক্ষণিক সাজা দেন। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ব্যবসায়ীদের অপরাধ দমনে এ আইনটির ব্যবহার হলে খুশি হয়ে থাকেন নাগরিকরা।
এ অবস্থায় এসব অপরাধ দমনে কি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনটি রিট মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, ‘কোর্টের কাজ হচ্ছে, বিচার করা। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে, যে অন্যায়গুলো হচ্ছে, বেআইনি কাজ হচ্ছে সেগুলো প্রতিহত করা। আমাদের পুলিশ আছে, র্যাব আছে, বিজিবি আছে। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরাতো বলছি না, যেখানে ভেজাল হয়, চোরাচালান হয় তাদের বিরুদ্ধে অন্য আইনে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
‘শুধুমাত্র এ আইনে যে বিচারিক প্রক্রিয়া ছিলো, একটা শর্টকাট মেথডে যে বিচারিক প্রক্রিয়া, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। সেটি বাতিল হয়েছে’।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘প্রথম দিকে মোবাইল কোর্ট খুব জনপ্রিয় ছিলো। কারণ, অপরাধের তাৎক্ষণিক সাজা। কিন্তু এ আইনের কিছু অপব্যবহারের কারণে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আর হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। তবে এটি বাতিল হলেও অপরাধ দমনে সমস্যা হবে না। এটিকে নতুন করে আইন অনুসারে প্রণয়ন না করা পর্যন্ত অন্য আইনে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা যাবে। খাদ্যে ভেজালের জন্য খাদ্য আইন ছাড়াও বিশেষ ক্ষমতা আইন, ফৌজদারি দণ্ডবিধি আইনসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য বিভিন্ন আইনে অপরাধীদের বিচার করা যাবে’।
‘এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আগের মতোই আসামি ধরে আদালতে সোপর্দ করবেন। আদালতে তাদের বিচার হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর