রোববার (১৪ মে) শুনানি শেষে এ স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর ১১ অক্টোবর তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন।
এ রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরেই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো।
পরে এ রকম আরও দু’টি রিট করা হয়। মোট ১৯ আবেদনকারীর তিন রিটের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, এটি অসাংবিধানিক ও মাসদার হোসেন মামলার (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) রায়ের পরিপন্থি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি।
রায়ে মোবাইল কোর্ট আইনে আবেদনকারীদের দেওয়া সাজাও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে একজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। তার টাকাও ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছেন।
রায়ের পরে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, কতিপয় ধারা অবৈধ হয়ে যাওয়ায় এখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ধারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ। এ অবস্থায় মোবাইল কোর্ট আর পরিচালনার সুযোগ নেই। এখন যদি মোবাইল কোর্ট আইন পরিচালনা করতে হয়, তাহলে নতুনভাবে একটি আইন করতে হবে, যেখানে সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে।
তবে আইন হওয়ার পরে যাদের সাজা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়টি মার্জনা করেছেন। তবে যেসব সাজার বিষয়ে এখন বিচারাধীন সেগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে।
২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এটিকে আইনে পরিণত করে। এরপর থেকে এটি ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯’ নামে পরিচিত।
তবে আইন হওয়ার পরে যাদের সাজা হয়েছে, তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি মার্জনা করেছেন আদালত। তবে যেসব সাজার বিষয়ে এখন বিচারাধীন, সেগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ইএস/ এএসআর
** ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চান রাষ্ট্রপক্ষ