মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবিরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হান খোকন (পলাতক), জাকির হোসেন ওরফে কালা জাকির, জাভেদ ওরফে প্রিন্স, আরিফ হোসেন, জুম্মন ও হীরা (পলাতক)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শরিফুল (পলাতক) ও আমির হোসেন (পলাতক),
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শাহ আলম প্রধানিয়া, শফিকুল আলম সুমন, ইমন ওরফে কালু মিয়া, মিলন ওরফে মিলন মোড়ল।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মোহাম্মদ উল্লাহ’র স্ত্রী মামলার বাদিনী কোহিনুর বেগম। তিনি বলেন, ‘আসামি রায়হান খোকনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। তিনিই আমার স্বামীকে খুন করিয়েছেন’।
২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জুরাইনের কাকলী পাঠাগারের সামনের রাস্তায় মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার ড্রাইভার হারুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম কদমতলী থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর প্রধান আসামি রায়হান খোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরে তিনি জামিন নিয়ে পলাতক হন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মোহাম্মদ উল্লাহ এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। রায়হান খোকনের কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। স্থানীয় সংসদ সদস্য সানজিদা খানম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কাউন্সিলার প্রার্থী হিসাবে মোহাম্মদ উল্লাহ’র নাম ঘোষণা করেন। রায়হান খোকন সেটি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনের পথের কাঁটা দূর করতে রায়হান খোকন ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে মোহাম্মদ উল্লাহকে হত্যা করান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর