বৃহস্পতিবার (১৮ মে) নাঈমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাসুদ জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে নাঈমকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইতোপূর্বে গ্রেফতার মামলার মূল আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামি ড্রাইভার বিল্লালের চারদিন ও দেহরক্ষী রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদের তিনদিনের রিমান্ডে আছেন।
গত ২৮ মার্চ ধর্ষণের ঘটনায় গত ০৬ মে এক তরুণী বনানী থানায় মামলা করার পাঁচদিন পর ১১ মে সিলেট থেকে প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বনানীর বিলাসবহুল রেইন-ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মাসখানেক আগের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীর বন্ধু। জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুননাহার ইয়াসমিনের কাছে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭/আপটে: ১৮১৭ ঘণ্টা
এমআই/এএটি/এএ/এমজেএফ