মোবাইল কোর্ট আইন নিয়ে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রোববার (২১ মে) এমন মন্তব্য আসে।
শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের স্থগিতাদেশ আগামী ০২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উপস্থাপনের পর সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘দরখাস্তে কি দেখাতে চেয়েছেন?’
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট চারদিন বন্ধ ছিলো। এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩৭টি বাল্যবিয়ে হয়েছে’।
তখন আদালত বলেন, ‘আপনি কি প্যারালাল কোর্ট চান?’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না। ইমিডিয়েটলি ইফেক্টের জন্য। কোনো অপরাধের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার জন্য এটি’।
তখন আদালত বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট করে শাস্তি দেবেন। আবার তার বিচার করবেন। এটা কোন বিধানে করবেন?’
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পুরো মামলাটির শুনানি গ্রহণ করেন’।
তখন আদালত বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে আদালতে অনেক কিছু বলি। এটার অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। বিচার বিভাগ সরকারের বিপক্ষে নয়। বিচার বিভাগ সব সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রায় দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এটা আপনি সরকারকে জানাবেন সমাধানের জন্য’।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,‘এভাবে বললে হবে? এটার কি সলভ (সমাধান) হবে? এগুলো বললে সংবাদপত্রে বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন হবে। তাহলে কিভাবে সমাধান হবে?’
আদালত বলেন, ‘আপনাকে জানিয়ে দিলাম সমাধান করার জন্য’।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,‘সল্যুশন তো হচ্ছে না’।
**নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ১১২৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
ইএস/এএসআর