হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২১ মে) চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ আদেশের ফলে এখন সরকারের নীতিমালা অনুসারে ফলাফলের ভিত্তিতে ভিকারুন নিসায় ভর্তি কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ১৬ মে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তিতে ভিকারুন নিসার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা স্থগিত করেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ। পাশাপাশি ভর্তি নীতিমালা-২০১৭ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ চারজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ১০ মে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কলেজে জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
পরে ইউনুছ আলী বলেন, ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এ অধ্যাদেশের ২, ৩, ১৮ ও ৩৯ ধারায় শিক্ষাবোর্ডের কাজ কি হবে, তা নির্ধারণ করা আছে। ভর্তি ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণও বোর্ডের কাজ। কিন্তু সরকার সার্কুলারে সে ক্ষমতা বোর্ডকে দেয়নি। ওই অধ্যাদেশের সঙ্গে মিল রেখে ২০০৯ সালে রেগুলেশন করে সরকার এবং সেখানে ৪২ ধারায় কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া অধ্যক্ষের হাতে ন্যস্ত আছে। সে অনুসারে সরকারি সার্কুলার ওই রেগুলেশনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
জারিকৃত নীতিমালা অনুসারে গত ০৯ মে দুপুর ২টা থেকে ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। অনলাইন ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত।
নটরডেম-হলিক্রস-সেন্ট জোসেফ কলেজের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ মে তাদের ক্ষেত্রেও নীতিমালা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। নীতিমালা অনুসারে মেধার ভিত্তিতে নয়, পরীক্ষা দিয়ে (নিজস্ব পদ্ধতি) তারা উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি করাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
ইএস/এএসআর