রিট আবেদনটির শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২২ মে)এ আদেশ দেন।
গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করে।
এতে বলা হয়, ‘কওমি মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান করা হলো’।
দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ার লক্ষ্যে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডগুলোর গঠন করা মান বাস্তবায়ন কমিটির ওপর ‘আস্থাভাজনপূর্বক’ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটিও গঠন করে সরকার।
গেজেটে বলা হয়েছে, ‘এ কমিটি সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিবেচিত হবে। এ কমিটির নিবন্ধিত মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের সমান বলে বিবেচিত হবে’।
এ কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা হবে বলেও সরকারি আদেশে বলা হয়েছে। তবে কমিটি দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনায় এক বা একাধিক উপকমিটি গঠন করতে পারবে।
এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মো. ফজলুল হক নামের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এক অনুসারী হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর