সোমবার (২৯ মে) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) এম আই ফারুকী অসমাপ্ত মতামত দেওয়া শুরু করেছেন।
এর আগে কয়েকদিনে অ্যামিকাস কিউরির মতামত দিয়েছেন জ্যেষ্ঠতম আইনজীবী টিএইচ খানের পক্ষে তার ছেলে আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এবং ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
গত ০৮ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া ১২ জন অ্যামিকাস কিউরির অন্য ৮ জন হলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, এ এফ হাসান আরিফ, আজমালুল হোসেন কিউসি, রফিক-উল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল ও শফিক আহমেদ।
গত ০৮ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আপিল শুনানির ৬ কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করেন আপিল আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ। শুরুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় পড়ে শোনান মুরাদ রেজা।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ০৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ০৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ০৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
ইএস/এমজেএফ