ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানিতে সোমবার (২৯ মে) অ্যামিকাস কিউরির মতামত দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধান হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন।
ষোড়শ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা খাটো করেছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্দেশ্য দেখা যাচ্ছে বলেই এটাতো পারে না। হাইকোর্ট বিভাগ অলরেডি এটাকে অবৈধ ঘোষণা করে দিয়েছেন। কোনো আইন বা সংশোধনী যদি পরিপন্থী হয়, তখন সংবিধানই প্রাধান্য হয়। এটিই হাইকোর্ট বলেছেন। ষোড়শ সংশোধনী এ কারণে মৌলিক কাঠামোয় আঘাত করেছে। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে।
ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের পরিপন্থী কি-না- এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, হাইকোর্ট পরিপন্থী বলেছেন। আমি এ সাবমিশন রেখেছিলাম, সেগুলো হাইকোর্ট মেনে নিয়েছেন। আজ আমি সেগুলোই বললাম। অবশ্যই পরিপন্থী’।
বিচারক অপসারণে কি বিধান থাকা উচিৎ- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেটা ছিল সেটাই সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। ষোড়শ সংশোধনী না থাকলে আমাদের যেটা ছিল সেটাই থাকবে। সেটার ওপর সর্বোচ্চ আদালতে রায়ও আছে’।
এর আগে অ্যামিকাস কিউরির মতামতে এম আই ফারুকী বলেন, ‘পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সামরিক শাসনামলে জারি করা সব ফরমান বাতিল করলেও সুপ্রিম জুডিসিয়াল ব্যবস্থাকে রেখে দিয়েছেন। এরপর সরকারও পঞ্চদশ সংশোধনীতে এ ব্যবস্থা রেখে দেয়। তারপর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করে’।
‘এই ষোড়শ সংশোধনী স্বাধীন বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর লঙ্ঘন। বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত হতে হবে বিচারকদের দিয়েই, রাজনীতিবিদদের দিয়ে নয়’।
সোমবার সকাল থেকে এম আই ফারুকী, ড. কামাল হোসেন ও এ এফ হাসান আরিফ তাদের মতামত উপস্থাপন শেষ করেছেন। এখন মতামত দিচ্ছেন আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর