দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার আসামি উপজেলার কাদাই গ্রামের বাবু মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী আনজুয়ারা খাতুন (২২)।
সোমবার (২৯ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া সুলতানার ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।
সূত্র জানায়, বাবু মিয়ার সঙ্গে এইক গ্রামের রজনু সরকারের মেয়ে রোজিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক সন্তান জন্ম নেয়। পরে পারিবারিক কলহের জেরে রোজিনাকে তালাক দেন বাবু।
প্রায় মাস তিনেক আগে বাবু মিয়া আনজুয়ারা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘটনায় রোজিনার বাবা রনজু মিয়া বাদী হয়ে বাবুর বিরুদ্ধে গত ০৯ মার্চ বগুড়ার আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে মামলাটির শুনানি চলাকালে ভিকটিম রোজিনাকে মারধর করতে থাকেন বাবু ও তার বর্তমান স্ত্রী আনজুয়ারা।
এ সময় তদন্তকাজ ব্যহত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বাবু-আনজুয়ারা দম্পতিকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবাইদুল হক।
ওবাইদুল হক বাংলানিউজকে জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় স্বামী বাবু ও স্ত্রীকে আনজুয়ারাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। দোষ স্বীকার করায় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এএসআর