হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে পরীক্ষা কমিটির করা আবেদন সোমবার (২৯ মে) কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত।
ফলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাই বহাল রইলো।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৫ জনের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
গত ২১ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অনেক নিয়োগ প্রার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন। তবে ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্যি নয়’।
গত বছরের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। পরে ২১ এপ্রিল ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অতল করসহ ১৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বিএম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরীক্ষা কমিটির পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর