ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্ত্রী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র নার্স রহিমা সুলতানা রুমি এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. রাফা-এ মিষ্টি। নিহতের স্ত্রীর আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী রিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রহিমা সুলতানা রুমিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান সমাজে বিভিন্ন কারণে একের পর এক নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটছে। এ মামলার ভিকটিম পুলিশের একজন এএসআই এবং তার স্ত্রী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। আসামি রহিমা সুলতানা অপর দুই আসামি মো. রাফা-এ মিষ্টি ও রিয়ার সহায়তায় জেনে, শুনে, বুঝে ও পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একই উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ভিকুরনিয়াম ব্রোমাইড ইনজেকশন পুশ করে ও শ্বাসরোধ করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এ মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ধরনের নির্মম, নৃশংস ও অগ্রহণযোগ্য হত্যাসহ এ জাতীয় অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ৫/৬ বছর আগে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র নার্স রহিমা সুলতানা রুমির সঙ্গে হুমায়ুন কবিবের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
এজাহারে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হুমায়ুনের স্ত্রীসহ অপর আসামিরা ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বজলুর রশীদ ঘটনার পরদিন ১৫ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমআই/জেডএস