আসামিরা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপূর উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৭২), তার ভাই মো.আজিজুর রহমান (৬৫), আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী (৮২) এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ (৮৮)।
খলিলুর রহমান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত এবং আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ রানা ও গাজী এম এইচ তামিম।
গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দু’জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করার অভিযোগ।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে রমজান আলী গ্রেফতার হয়ে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে গত ৩০ জানুয়ারি তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার দু’জনসহ মোট ৮২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়ন আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতের সমর্থক।
আজিজুর রহমান, আশক আলী ও শাহনেওয়াজ পাকিস্তান মুসলিম লীগের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তারাও জামায়াতের সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর