একইসঙ্গে বরখাস্তাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। মান্নানকে দায়িত্ব পালনে যেন কোনো বাধা না দেওয়া হয় সে আদেশ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে আসাদুর রহমান কিরণের নিয়োগও স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মান্নানের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে রোববার (০৯ জুলাই) বিকেলে রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন মান্নানের আইনজীবী আবু হানিফ। আদালতে মেয়র মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আবু হানিফ।
আবু হানিফ জানান, আবেদনে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ এবং তার (এম এ মান্নানের) দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থার আবেদন করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এম এ মান্নানকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির এই নেতা।
পরবর্তীতে নাশকতার এক মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট অধ্যাপক মান্নানকে প্রথম বরখাস্ত করেছিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ২৮ মাস পর মেয়র পদ ফিরে পান এম এ মান্নান।
কিন্তু এর পরপরই আরও একটি মামলার অভিযোগপত্র গৃহীত হলে গত বছরের ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ওই আদেশেরও বিরুদ্ধেও আইনি লড়াই করেন মান্নান। গত ১৮ জুন পুনরায় পদ ফিরে পান তিনি। কিন্তু এর কয়েকদিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার পর তাকে তৃতীয়বারের মতো বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় বিএনপির এ নেতাকে বেশিরভাগ সময় কারাগারেই কাটাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর