মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা আবদুল মালেকের স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তাসলিমা ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল ওই ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেশী মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল মান্নান হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। সে মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ৬ জুন মান্নান রাত ৮টার দিকে তার বসতঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায় মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৭ জুন ফাইনাল প্রতিবেদন দেন। ট্রাইব্যুনাল ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট আসামি মান্নানকে খালাস দেন।
তাসলিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ এনে আসামি মান্নান ক্ষুব্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একই ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২১ জুন তাসলিমাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে এ আদেশ দেন।
রায় দেওয়ার পর মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আমার ৫৫ বছরের জীবনের সব অর্জন তাসলিমা একটি মামলা দিয়ে শেষ করে দিয়েছে। আজ থেকে আমি মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
আরবি/