বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় জবি বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দায়ের করা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অনতিবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক জবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রোনিয়া সুলতানা ঝুমুর বলেন, সেদিন শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক পথ ধরে চলছিল। এ বিষয়ে সার্জেন্ট কায়সার একটি বেসরকারি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন-হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
‘কিন্তু মামলায় সেটা হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর হয় কিভাবে? তিনি ৩০৭ ধারা দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা করেছেন। ’
তিনি বলেন, জবির শিক্ষার্থীদের যে কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হয় তা দেশের আর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করতে হয় না। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দেওয়া অমানবিক।
‘ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ যদি তার মামলা প্রত্যাহার না করেন তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহন ও আবাসন সংকট নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উস্কানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘প্রথম আলো’ পত্রিকাকে ক্যাম্পাসে বয়কটের ঘোষণা দেন জবি শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ১০ টায় শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোর বেশকিছু কপি আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান শিক্ষার্থীরা।
গত ১৭ জুলাই রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় জবির তিনটি বাস উল্টোপথে চলতে চাইলে বাধা দেন কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একদিন পরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। এজহারে দায়িত্ব পালনকালে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, যানবাহন ও জন চলাচলে বাধা এবং সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
ডিআর/এমএ