ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চাঁদপুরে ফুফু হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
চাঁদপুরে ফুফু হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুরে দাবিকৃত ২০ হাজার টাকা না দেয়ায় ফুফু লায়লা বেগমকে (৭৫) শ্বাস রোধে হত্যার দায়ে নান্নু সিকদার (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।

হত্যার শিকার লায়লা জেলার মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর নাওড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী।

আসামি নান্নু একই উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সিকদারের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নান্নু ফুফুর বাড়িতে যান। ফুফ‍ু বাড়িতে একা থাকতেন। তার ছেলেরা ঢাকায় থাকেন। রাতের খাবার শেষে ফুফুর কাছে ২০ হাজার টাকা হাওলাত চান নান্নু। ফুফু টাকা নেই বলে তাকে জানান। রাতে দু’জনেই ওই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১টার দিকে নান্নু ফুফুকে শ্বাস রোধে হত্যা করে মশারির নিচে রেখে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যান। এরপর দু’দিন লায়লার ছেলেরা মায়ের খোঁজ না পেয়ে স্বজনদের ওই বাড়িতে পাঠান। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে দাফন করেন।

মার মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সন্তানরা। তারা নান্নুকে সন্দেহ করে তার মোবাইল নম্বর ও নাম ঠিকানা র‌্যাব-১১ এর কাছে দেন। র‌্যাব নান্নুর মোবাইল নম্বর সিডিআর লিস্ট চেক করে ঘটনাস্থল মোবাইল টাওয়ার এলাকার তার অবস্থান নিশ্চিত করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর র‌্যাব নান্নুকে ঢাকা থেকে আটক করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর র‌্যাব নান্নুর জবানবন্দি ও যাবতীয় তথ্যের একটি সিডিসহ তাকে মতলব উত্তর থানায় সোপর্দ করেন এবং ওইদিন নিহতের ছেলে ইউনুছ আজাদ বাদী হয়ে নান্নুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১ অক্টোবর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তিনি ১৬৪ জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীণ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সরকার তদন্ত শেষে ১৮ জুন ২০১৫ তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, মামলাটি চলমান অবস্থায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নান্নুর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন। সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন মো. মোক্তার আহম্মদ (অভি)। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শরীফ মাহমুদ সায়েম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।