সরকার পক্ষে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এক সপ্তাহ সময় দেন।
সকালে শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে ০২ জুলাই দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি তা মঞ্জুর করে বলেছিলেন ‘এটিই লাস্ট চান্স। ’
ওইদিন এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রীও ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গেজেট হওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন। এরমধ্যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই দফা সাক্ষাতের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক চলতি সপ্তাহে গেজেট চূড়ান্তের কথা বলেন।
গত ১৫ মে ও ২৯ মে আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন। গত বছরের ০৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর হাজির করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর মধ্যে ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি।
পরে অবশ্য দুই সচিব আদালতে হাজির হওয়ার পর গেজেট প্রকাশে সময় দেন আদালত।
১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো।
আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেনের মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশে আরও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩,২০১৭
ইএস/বিএস