জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত) ও ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও শিকদার মাহমুদুর রাজী।
পরে নূর মুহাম্মদ আজমী বলেন, গণমাধ্যমে কথিত প্র্যাংক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করি।
‘শুনানি শেষে হাইকোর্ট রাস্তাঘাটে হয়রানিমূলক প্র্যাংক বন্ধে সরকারকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল নিশি জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ’
নূর মুহাম্মদ আরও বলেন, প্র্যাংক করে এগুলো আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইউটিউবে আপলোড করা হয়।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে প্র্যাংক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, চন্দ্রিমা উদ্যানে বসা একটি মেয়েকে একটি ছেলে এসে বললো, আপু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। মেয়েটি হ্যাঁ সূচক জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি পেছন থেকে একটি সাপ বের করে তার সামনে ধরে। তখন মেয়েটি সত্যিই সাপ মনে করে ভয়ে দৌড় দেয়। দৌড়াতে গিয়ে ইটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার ওপর পড়েও যায় এবং প্রচুর ব্যথা পায়। এসময় তার এমন দৌড় দেখে চারদিকের মানুষগুলো অনেক জোরে জোরে হাসছিল। এক পর্যায়ে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন এসে মেয়েটিকে বললো, আপু আমরা প্র্যাংক (কৌতুক) করেছি।
আইনজীবী বলেন, এটা পাবলিক প্লেসে রীতিমত হেনস্থা। তারা গোপনে এটা ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে অর্থ আয় করে। এই তৎপরতা বেশিরভাগ শপিং মল বা পার্কে করা হয়।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউটিউবে এরকম অসংখ্য ভিডিও আছে। যেমন নিরিবিলি পার্কে রাস্তার পাশে সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে মুখোশ পরে গাছের আড়াল থেকে হাজির হওয়া। অথবা হঠাৎ করে কোনো মেয়েকে কোনো একটি ছেলে গিয়ে বলছে, ‘আপনাকে চুমু খেতে চাই। আপনি কি রাজি?’ পরে বলা হয় প্র্যাংক। এসব আচরণে নাগরিকরা হেনস্থার শিকার হন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪,২০১৭
ইএস/এইচএ/