বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সিলেটের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত আনিক মিয়া হত্যা মামলার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আনিক মিয়া একই গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে লয়লু মিয়ার সঙ্গে আনিক মিয়ার জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৩ সালের ১৪ মে বেলা ১১টার দিকে আনিক মিয়া তার লোকজন নিয়ে লয়লু মিয়ার বসতঘরে হামলা চালান। এ সময় ভাত খাওয়ারত অবস্থায় বাঁশ দিয়ে লয়লু মিয়ার মাথা ও কাধে উপর্যুপরি আঘাত করা হলে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে লয়লু মিয়াকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাত তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লয়লু মিয়া মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মোগলাবাজার থানার কলাগাঁও গ্রামের মো. নূরুল ইসলাম কনর মিয়া ওরফে আনিক মিয়াকে আসামি করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৩ সালের ০১ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল বাহার একমাত্র আসামি আনিক মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন ও আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক মামলাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এনইউ/এএসআর