এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার (৩১ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ও স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে যশোরের বিশেষ আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
২০০৮ সালের ১৩ এপ্রিল আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এবং ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৭ টাকার মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলায় ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে যশোর বিশেষ জজ আদালত। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ওহাব। ২০১০ সালে মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও ২০১৩ সালে স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করলে ১৮ এপ্রিল তা খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন ওহাব।
গত ১১ জুলাই বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এ রুল ও স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করে দুদক।
সোমবার দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রুল ও স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ