আসামি মোশারফের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেছেন আদালত। অপর এক আসামি হারুন উর রশিদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আব্দুর রেজাক খান ও দেলোয়ার হোসেন লস্কর।
পরে মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, অপরাধের মাত্রা বা গভীরতা বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোশারফকে যাবজ্জীবন, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীরকে ১০ বছর এবং হারুন উর রশিদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ২১ জুলাই রাতে আসামিরাসহ ৫/৬ জনের একটি ডাকাত দল হেদায়েত উল্লাহর ধামরাইয়ের বিজয়নগরের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে বেঁধে ফেলে। পাশের অন্য একটি ঘর থেকে হেদায়েত উল্লাহ বের হয়ে এলে ডাকাতরা তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুর রশিদ ধামরাই থানায় ডাকাতিসহ খুনের মামলা করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী তরিকুল ইসলাম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার বিচারকালে ২৯ জন সাক্ষির মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসামি মোশারফ ও জাহাঙ্গীর আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১১ সালের ৩ মে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আনিছ ওরফে কসাই আনিসকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন এবং ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইএস/জেএম