হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে তোফায়েল আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা দু’টি আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ফলে তার নিয়োগ অবৈধই থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও এএফএম মেজবাহ উদ্দিন। তোফায়েল আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। অন্য পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল।
২৫ জুলাই বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন।
ওইদিন গোলাম সরোয়ার পায়েল বলেন, গত বছরের ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে দু’জন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে যোগ্যতা চাওয়া হয় সিজিপিএ (কিউম্যুলেটিভ গ্রেড পয়েন্টস অ্যাভারেজ)-৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫।
পরে দর্শন বিভাগ গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৫ জনকে নিয়োগ দেন। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত দু’জনের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের সিজিপিএ-৩.১৯।
সিজিপিএর শর্ত পূরণ না করার পরও তোফায়েলকে নিয়োগ দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন শিক্ষক পদে আরেক আবেদনকারী এইচ এম মিরাজ সৌরভ। এ রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ৩০ জানুয়ারি নিয়োগের সব শর্ত পূরণ না করার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
পায়েল আরও বলেন, চূড়ান্ত শুনানি শেষে তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন এ পদে নিয়োগ দিতে চাইলে নতুন নিয়োগ কমিটি গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
ইএস/এএ