একই মামলার আসামিরা হচ্ছেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার (৭৫), মোজাহার আলী শেখ (৬৫), সহর আলী সরদার (৬৫), আতিয়ার রহমান (৭০), মোতাছিম বিল্লাহ (৮০), কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬), নজরুল ইসলাম (৬০) ও আশরাফ শেখ (৮০)।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে আসামিদের মধ্যে আশরাফ গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে গত ০৫ জুন মারা গেছেন। নজরুল পলাতক ও বাকি ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৫৩তম এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটির বিস্তারিত তুলে ধরেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক।
শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন প্রসিকিউশন।
সাত খণ্ডের এক হাজার ২৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আটজনের বিরুদ্ধে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক বলেন, ‘এসব মামলায় বিচার দ্রুত হওয়াটাই বিচার প্রার্থীদের দাবি। এ দাবির কারণেই দু’টি ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছিল। এখন মামলার জট বাড়ছে। এ বিষয়ে আমাদের মতামত হলো, আবার দু’টি ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় করা হোক। মামলার বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হোক, এটাই সবার চাওয়া’।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ায় কার্যত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ ব্যহত হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরে মামলা আটকে আছে’।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর