মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অবকাশকালীন ছুটির (ঈদ-উল আযহার পর) এক সপ্তাহ পর শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদনটি করেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না’।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
শুনানির শুরুতেই আদালত রিট আবেদনকারী ইউনুছ আলী আকন্দকে বলেন, ‘আপনাকে ষোড়শ সংশোধনীর রায় দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আপনি সেটি দেননি’।
জবাবে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘রায় পাইনি। তাই একটি সম্পূরক আবেদন দিয়েছি। এতে রায়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে’।
আদালত বলেন, ‘আপনি এ আবেদনে আপিল বিভাগের রায় সঠিকভাবে তুলে ধরেননি। এ আবেদন সংশোধন করতে হবে’।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু রিট আবেদনটি খারিজের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘এটি জনস্বার্থমূলক রিট আবেদন নয়। জনস্বার্থমূলক মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগ যে গাইডলাইন দিয়েছেন, তাতে এটি পড়ে না। তাই এ রিট চলতে পারে না’।
আদালত বলেন, ‘আপিল বিভাগ যে মত (ফাইন্ডিংস) দিয়েছেন তা আমাদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক’।
এরপর শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর