বুধবার (০৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের দুই নম্বর আদালতে এ শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর কিছুদিন পর ৪ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, আল আমিন নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাই প্রতিরোধ টিম।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি .২২ বোরের রিভলবার উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওই বছরের ৪ জুন তাদের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।
আসামি মামুন ও আল আমিন আদালতে স্বীকার করেন, ২০১২ সালের ৫ মার্চ দিনগত রাতে ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় তারা খালাফ আল আলীকে এ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পরে আসামি মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ৩১ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয় ৫ জনের বিরুদ্ধে। একই বছরের ৩০ডিসেম্বর সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় ৫ আসামির সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন।
নিয়ম অনুসারে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আসামি সাইফুলকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর ৩ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
ইএস/আরআইএস/