পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এ এম আমিন উদ্দিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর।
জাহাজ মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।
পরে সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদনে ওই জাহাজের পাইপে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি থাকার কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে সম্পূরক আবেদনের পর মঙ্গলবার আদালত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওই জাহাজ ভাঙ্গায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
মেসার্স জনতা শিপইয়ার্ড ওই জাহাজটি ভাঙ্গার জন্য আমদানি করে।
এমটি প্রডিউসারকে আমদানি, সৈকতায়ন এবং ভাঙ্গার অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি হাইকোর্টে রিটটি করে। গত ০৮ জুন ওই জাহাজের তেজস্ক্রিয়তার বিষয়ে ১০ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশসহ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কাস্টমসের মেগা পোর্ট ইনিশিয়েটিভকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে আমদানিকারকসহ মামলার ১৮ জন বিবাদীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমটি প্রডিওসার নামের জাহাজের অনুকূলে দেওয়া ছাড়পত্র কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন মিথ্যা ঘোষণা দেওয়ার কারণে বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, ‘এর মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরসহ বিবাদীরা জাহাজ পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করেন। ওই প্রতিবেদনে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন পেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করি। এরপর আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন’।
তিনি আরও বলেন, মলিকপক্ষও ওই জাহাজের তেজস্ক্রিয়তা নিরুপণে একটি কমিটি করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনও চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
ইএস/এমএ/এএসআর