বুধবার (০৪ অক্টোবর) সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া রিটটি করেন।
গত ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে যান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২৪ (এল) মোতাবেক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুসারে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অনধিক ৯০ দিন অথবা পরবর্তী নির্বাচিত ডিন কাজে যোগদান না করা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর সকালে ডিন অফিসে এসে দায়িত্ব নেন সাদেকা হালিম।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডিন কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নেওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে ডিনের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া।
অধ্যাপক শফিউল আলম বলেন, ‘এক ভারপ্রাপ্ত ডিনকে সরিয়ে আরেক ভারপ্রাপ্ত ডিন নিয়োগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও প্রচলিত রেওয়াজ পরিপন্থী এবং অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। রেওয়াজ অনুসারে পরবর্তী ডিন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিন দায়িত্ব পালন করেন। যা ইতোপূর্বে হয়েছে। কিন্তু আমাকে কেন নির্বাচন না দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হলো? তাহলে আমি কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আক্রোশের শিকার?’
তিনি বলেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে, তিনমাস পূর্ণ হতে আর বেশিদিন নেই। তাই হয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ডিন হিসেবে কন্টিনিউ করুন। তবে এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল। কেন এমন করা হলো, আমি তা জানতে চাই’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর