একই মামলার ছয় আসামির অন্য পাঁচজন হলেন- মো. রুহুল আমিন মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)।
মো. আব্দুল লতিফ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও অন্যরা পলাতক।
তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) থাকা মামলাটির যুক্তিতর্ক নতুন করে শুনবেন বলে জানান। বিচারিক প্যানেলের নতুন দুই সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদারও এজলাসে ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর এটি ছিল তাদের প্রথম কার্যদিবস। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর প্রায় তিনমাসের মাথায় বুধবার (১১ অক্টোবর) এ পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
তিনমাস বন্ধ থাকার পর এর মাধ্যমে ফের শুরু হলো ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারিক কার্যক্রমও।
এর আগে গত ০৯ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় যেকোনো দিন রায় দিতে মামলাটি সিএভি রেখেছিলেন প্রয়াত চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর হায়দার আলী, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির। আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর