ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘শিগগিরই’ ঠিক হচ্ছে বিডিআর হত্যাযজ্ঞের রায়ের দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
‘শিগগিরই’ ঠিক হচ্ছে বিডিআর হত্যাযজ্ঞের রায়ের দিন

ঢাকা: রাজধানীর পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস- বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাযজ্ঞের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণার দিন শিগগিরই ধার্য হতে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি আশা করছি, শিগগিরই এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক হতে পারে’।
 
গত ১৩ এপ্রিল এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চ।

বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ০৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫১ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।
 
পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড ও কয়েকজনের সাজা বাড়াতে আরও দু’টি আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে দেরিতে আবেদন করায় গত ১৩ এপ্রিল আবেদন দু’টি বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে গত ০৬ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের বাতিলের আদেশটিই বহাল রাখেন।
 
২০১৫ সালের ০৪ জানুয়ারি সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। পরদিন ০৫ জানুয়ারি বসে ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করে দেন বিশেষ বেঞ্চ।

২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে গত ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল শুনানি করেন।
 
আসামিপক্ষে ছিলেন- অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান, এ এস এম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা, শামীম সরদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।