ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু আইন নিয়ে দুই সচিবকে হাইকোর্টে তলব ১২ নভেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
শিশু আইন নিয়ে দুই সচিবকে হাইকোর্টে তলব ১২ নভেম্বর  সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: শিশু আইন নিয়ে আদালতের দেওয়া আদেশ পালনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন প্রণয়ন ও সংসদ (লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং) বিভাগের সচিব এবং সমাজকল্যাণ সচিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ নভেম্বর তাদেরকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সমাজকল্যাণ সচিবকে হাইকোর্টে তলব করে ২৯ অক্টোবর আসতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

কিন্তু রোববার তিনি আসেননি। তার আইনজীবী আশিকুর রহমান জানান, তিনি সমন না পাওয়ায় আসতে পারেননি। তবে আদালতের দেওয়া আদেশ অনুসারে শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের খসড়া করে আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এরপর দুই সচিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।

গত ১৫ অক্টোবর শিশু আইনে করা মামলায় আটক মো. দেলোয়ার হোসেন ও হেমায়েত উল্লাহ দেওয়ানের জামিন আবেদনের শুনানিকালে সমাজকল্যাণ সচিবকে ডাকেন হাইকোর্ট।

শিশু আইন সংশোধন করতে প্রায় ১০ মাস আগে দেওয়া নির্দেশ কার্যকর না করায় এ বিষয়ে তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন প্রণয়ন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে করা পৃথক চার মামলায় বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। চারটি মামলার মধ্যে দুটি শিশু আইনে ও অপর দুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা হয়। পৃথক দুই আইনে দায়ের হওয়া মামলার সাজাও আলাদা।

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বিচার কোন আইনে বা কোন আদালতে হবে সে বিষয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট ওই তিন সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। গত বছরের ০৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও কেউই ব্যাখ্যা দাখিল করেননি।

এ কারণে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি হয়। এরপর ডিসেম্বরে তারা আদালতকে জানান, শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের মাধ্যমে অস্পষ্টতা দূর করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই আইন সংশোধনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ায় হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।