ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কচুয়ায় শাশুড়ি হত্যার অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
কচুয়ায় শাশুড়ি হত্যার অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুর: চাঁদপুরে খোদেজা বেগম (৪৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করার অপরাধে তার মেয়ের জামাতা এনায়েত উল্লাহ (৩২) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অপরাধে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং স্ত্রীর ভাগ্নে সোহাগকে কুপিয়ে জখম করায় তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় দেন।

 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এনায়েত বরগুনার পাথরঘাটা থানার নাছনা গ্রামের খান বাড়ির মৃত আলী আজম খানের ছেলে।  

খোদেজা বেগম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১০ নম্বর গোহট উত্তর ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের জয়নাব আবেদীনের স্ত্রী।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে মেয়ে শারমিন আক্তার ও তার স্বামী এনায়েতের বিয়ের কাবিননামা করাকে কেন্দ্র করে খোদেজার সঙ্গে এনায়েতের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে এনায়েত ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শারমিনকে আঘাত করেন। খোদেজা ও তার নাতি সোহাগ এসময় শারমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এনায়েত। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খোদেজার। বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থল থেকে এনায়েতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ঘটনার ১৮ মাস আগে শারমিন ও এনায়েতের পরিচয় এবং বিয়ে হয়। তারা এরপর কচুয়ায় এসে কিছুদিন শারমিনদের বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তাদের বিয়ের কাবিননামা না থাকায় প্রায়ই শারমিন ও তার পরিবারের সঙ্গে এনায়েতের ঝগড়া হতো।  

এদিকে, হত্যার পরদিন ১৭ এপ্রিল নিহতের ছেলে জসিম মোল্লা বাদী হয়ে এনায়েতের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আমিন ওই বছরের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এতে আসামির অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তার উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক।  

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি এবং আসামি পক্ষে ছিলেন (স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার) আমিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।