ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিরপুর মডেল থানার এক এসআইকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
মিরপুর মডেল থানার এক এসআইকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরে শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নওশের আলীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ নজরে নিয়ে মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
 
গত ৫ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলা ‘মাকে বাবা অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে’ তদন্ত কর্মকর্তার গড়িমসির অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।


 
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
 
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত শাম্মী হত্যা মামলায় তদন্তে গাফিলতির জন্য মিরপুর মডেল থানার এসআই নওশের আলীকে ২১ নভেম্বর স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দিয়েছেন।
 
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আমার বাবা অন্য বাসার এক কাজের মহিলাকে বিয়ে করে। মায়ের গলায় দড়ি দিয়ে বাবা তাকে মেরে ফেলে। এরপর ফ্যানে ঝুলায়। মাকে খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আপনার কাছে দড়ি আছে না? দড়ি দিয়ে আমার বাবাকে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধবেন। তারপর মারতে মারতে মেরে ফেলবেন। কবর দেবেন না; জেলখানায় ফেলে রাখবেন।
 
মা শাম্মী হত্যার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে এভাবেই মর্মস্পর্শী কথাগুলো বলছিলেন পাঁচ বছরের শিশু আরিয়ান। শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে কথা হয় মাহারা এ শিশুটির সঙ্গে। এ সময় ছোট ছোট বাক্যে বাবার নিষ্ঠুর নির্যাতনে মা মারা যাওয়ার কাহিনী বলে সে।
 
৭ জুন রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় একটি বায়িং হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন টিটু তার স্ত্রী শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মীকে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. ফরহাদ হোসেন খান বাবু বাদী হয়ে ৮ জুন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘাতক স্বামী আলমগীর ও তার তৃতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তাকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগ উঠেছে, আলোচিত এ মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. নওশের আলী।

মামলার বাদী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকায় অবস্থানরত আসামির ধণাঢ্য ভগ্নিপতি মো. আবদুল বাছেদ অর্থের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন এবং মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে কাজ করছেন। আর তাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নওশের আলী প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ঘাতক আসামির পক্ষে ভূমিকা রাখছেন।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নওশের আলীর সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বাদী পক্ষের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।