ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পেটে বাচ্চা রেখে সেলাই, হাজিরা দিলেন সিভিল সার্জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
পেটে বাচ্চা রেখে সেলাই, হাজিরা দিলেন সিভিল সার্জন সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: জমজ সন্তানের একজনকে ভূমিষ্ট করিয়ে আরেকজনকে পেটে রেখেই সেলাই করে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনায় হাইকোর্টের তলবে হাজিরা দিয়েছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জনসহ তিনজন।

অন্য দু’জন হচ্ছেন- কুমিল্লার গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা।

তবে সিভিল সার্জনকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও আগামী ১৬ নভেম্বর ফের মালিক ও চিকিৎসককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই ঘটনায় গঠিত  তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতেও সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
 
আদালতে শুনানি করেন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ বিষয়ে প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের পক্ষে ছিলেন আব্দুল মতিন খসরু।
 
অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হোসনে আরা বেগমের পক্ষে ছিলেন এ কিউ এম সোহেল রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
 
মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, ‘ওই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর পরই তা তদন্তে কুমিল্লার সিভিল সার্জন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলেন। কমিটি প্রতিবেদনও দিয়েছে। প্রতিবেদনটি বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে আছে। যা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট’।
 
ওই ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর গত ২৯ অক্টোবর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনজনকে তলব করেন। ০৭ নভেম্বর হাজির হয়ে তাদেরকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ‘জমজের একটিকে পেটে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আলগিরচর গ্রামের প্রবাসী আউয়াল হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল ও ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওইদিনই সিজারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে সন্তান হয়’।

‘তখন অন্তঃসত্ত্বার স্বজনেরা খাদিজার পেটে জমজ বাচ্চা রয়েছে জানালে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বলেন, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। চারদিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়’।

‘হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর খাদিজার ফের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা রয়েছে’।

‘পরে গত ২৩ অক্টোবর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৫ অক্টোবর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে সন্তান বের করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।